সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে দোকান ঘর দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আজ শনিবার বিকেল ৩টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক নারী কাউন্সিলর ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। এ সময় পরিবারের অপর সদস্য তাঁর দুই ভাই মো. লিটু, মো. শহিদ ও ছোট বোন রুমা ইয়াসমিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদা ইয়াসমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমাদের বাবা মৃত আবদুল খালেক খলিফা। আমরা ওয়ারিশ সূত্রে ও ১৯৪২ সালে সাব কবলা দলিল মূলে শহরের পূর্ব চাঁদকাঠী চৌমাথার জমিতে দুটি দোকান নির্মান করে ভাড়া দিয়ে আসছি। ২০১৪ সালে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ হঠাৎ করে দলবল নিয়ে সেই দোকান ঘর দুটি দখল করে নেয়। এ সময় থেকে আমাদের দুই ভাড়াটিয়া সেলিম ও পানুকে তাড়িয়ে দিয়ে দুটি দোকানে হাফিজ গ্রুপের ক্যাডার আল আমিন ও উদয়কে বসিয়ে দিয়ে ভাড়া আদায় করা যাচ্ছে। এতে বাঁধা দিতে গেলে আমার দুই ছোট ভাই ও ভাইর স্ত্রীকে মারধর করে ও আমার ছোট বোন রুমাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয় হাফিজ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। আজ শনিবার সকাল থেকে তারা সেই দোকান ঘর দুটি ভেঙে নতুন করে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করছে।
ঘটনার পর আমরা ঝালকাঠি পুলিশ সুপার ও থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় আমি যার কাছেই যাই সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে সবাই আমাদের ফিরিয়ে দেয়। উক্ত সম্পত্তির স্বপক্ষে আমার বাপ-দাদার মালিকানাধীন দলিলপত্র সহ সর্বশেষ বিএস রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও ঝালকাঠির চিহ্নিত ভূমি দস্যু ও সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্র ও পেশী শক্তির বলে দখল করে রেখেছে। এমনকি আজ দোকান ঘরগুলো পুনঃ নির্মান শুরু করে দখল দারিত্ব পাকা পোক্ত করছে। এ অবস্থায় আমাদের বিচার বা প্রতিকার চাওয়ার মতো কোন জায়গা নেই বলে আপানাদের মাধ্যমে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আমির হোসেন আমুর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ বলেন, দোকানঘর দখলের অভিযোগ সঠিক নয়। দোকান ঘরের অধিকাংশ সম্পত্তি তাঁদের চাচার কাছ থেকে আমি কিনেছি। তাঁর চাচা দোকানসহ আমাকে বুজিয়ে দেয়া পরেও আমি তাদের সাথে বহুবার বৈঠক করেছি। কিন্তু তাঁরা কোন আলোচনা না মেয়ে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে। ।